
লেওয়ান্ডোভস্কিকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে বার্সাকে
বিশ্বকাপের বিরতি শেষে ফিরতে শুরু করেছে ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা। খেলয়াড়রাও জাতীয় দলের জার্সি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ক্লাবের দায়িত্বে। বিশ্বকাপে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা শেষে বার্সেলোনায় ফিরেছেন পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কি। তবে বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ক্লাবে ফিরলেও এখনই মাঠে নামতে পারছেন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা লেওয়ান্ডোভস্কি।
নতুন বছরের শুরুতেই ব্যস্ত সূচিতে তারকা স্ট্রাইকার লেওয়াকে ছাড়াই বার্সেলোনাকে লা লিগার লিড ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শনিবার এস্পানিওলের বিপক্ষে কাতালান ডার্বি দিয়ে বিশ্বকাপ বিরতির পর লা লিগার মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগ শুরু করতে যাচ্ছে বার্সেলোনা।
লেওয়ান্ডোভস্কি বিশ্বকাপের আগে বার্সেলোনার শেষ ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ায় তিনটি লিগ ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন। ওসাসুনার বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর পিছিয়ে পড়েও জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বিরতিতে গিয়েছিল বার্সেলোনা। সেই জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। উভয় দলই ১৪টি করে ম্যাচ খেলেছে।
আক্রমণভাগে বার্সা কোচ জাভির হাতে তিনজন অপশন রয়েছে, ফেরান তোরেস, আনসু ফাতি ও মেমফিস ডিপাই। যদিও এদের মধ্যেই কেউই বিশেষজ্ঞ সেন্টার ফরোয়ার্ড নন। এদিকে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপের রানার্স-আপ উইঙ্গার ওসমানে ডেম্বেলে সোমবার থেকে অনুশীলনে ফিরেছেন। এস্পানিওলের বিরুদ্ধে তার মূল একাদশে খেলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বার্সেলোনার হতাশাজনক বিদায়ের পর বিশ্বকাপের আগে লা লিগার শীর্ষে ওঠা কাতালান জায়ান্টদের জন্য মানসিক একটি শক্তি ছিল, যা এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগের মৌসুমে শিরোপা বিহীন থাকা জাভির জন্য এবার দ্বিতীয় বছরে যেকোন একটি শিরোপা জয়ের চাপ রয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যেই বার্সেলোনা গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। লেওয়ান্ডোভস্কি ছাড়াও ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহা, ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুউন্দেসহ আরো কিছু খেলোয়াকে দলে ভিড়িয়ে তারা হইচই ফেলে দিয়েছিল।
লেওয়ান্ডোভস্কির দলভূক্তি বার্সাকে অন্য রকম শক্তিমত্তা জোগাবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও ইউরোপের মঞ্চে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে দুইবার পরাজিত হলে দলের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
গত সপ্তাহে বার্সা টিভিকে জাভি বলেন, ‘আমি জানতাম এবার শিরোপা জেতার চাপ রয়েছে। এই চাপটা মূলত আমার ওপর। এবং আমি সেটা গ্রহণ করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। যেকোন একজনকে সাহসী হতেই হয়।’
এবারের মৌসুমে সত্যিকার অর্থে বার্সেলোনার শিরোপা জেতার সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য-জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপে। এর আগে লা লিগায় এস্পানিওল ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মোকাবেলা করবে জাভির দল। এছাড়াও কোপা ডেল রে’তে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টারসিটি। এদিকে, লেওয়ান্ডোভস্কির ব্যাকআপ হিসেবে তোরেস, ফাতি ও ডিপাইয়ের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে জাভিকে।
You must log in to post a comment.