
হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরমিছ আলী নামে এক ব্যক্তিকে তিনজন মিলে বেধড়ক মারধর করছে। আঘাতে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষরা। মারধরের আঘাতে চিৎকার করলেও এগিয়ে আসেনি কেউ।তবে এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে পুলিশ তুর্জ আলম নামে একজনকে আটক করে। পরে তাকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তার স্বজনরা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতকড়া উদ্ধার করলেও পলাতক রয়েছে তুর্জ আলম।এমনই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার খেয়াঘাট এলাকায়।আহত ব্যক্তি আরমিছ আলীকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার স্বজনরা। আরমিছ আলী ওই এলাকার মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে।স্থানীয় এলাকাবাসীর জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার খেয়াঘাট এলাকায় শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টায় আরমিছ আলীকে মান্নারগাঁও ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের ছেলে তুর্জ আলম, কমল আলম এবং অ্যাড. কাননসহ আরও কয়েকজন মারধর করে। এরপর হামলাকারীরা আরমিছ আলীকে গাড়িতে করে ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে নিয়ে যায়। সেখানকান মানুষজন অবস্থা থেকে পথরোধ করে। অবস্থা দেখে হামলাকারীরা আরমিছ আলীকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এসময় ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের বাড়ির সামনে থেকে হামলাকারী ইউপি সদসস্যের ছেলে তুর্জ আলমকে আটক করে পুলিশ। এসময় ইউপি সদস্য মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফরহাদ আলম ও অ্যাড. কানন তাদের লোকজনকে সকলকে ঘেরাও করার নির্দেশ দেন।ইউপি সদস্যের লোকজন রামদা, দা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত নিয়ে তুর্জকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় ছিনিয়ে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশও কোনো প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি।এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক বলেন, একজন আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশি অভিযানের প্রেক্ষিতে হাতকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
You must log in to post a comment.