
ডোনাল্ড লু কী বলেছেন ভিডিও আছে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকায় এসে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করেছে বলে যে অভিযোগ করছে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ডোলান্ড লু কী বলেছেন এটা ভিডিও আছে। তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশংসা করেছেন। এটা আমার কথা না, তার কথা, মিথ্যাচারও না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বোর্ড সভা শেষে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু দেশ। বিশ্বে কোনো দলকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিধান নেই। থাকা উচিত না। যদি থাকে তাহলে বিএনপিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত তাদের মিথ্যাচার করার জন্য।
বিশ্বের যদি মিথ্যাচারের জন্য কাউকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতো তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার সহযোগী নেতারা পেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জঙ্গিরা বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় বড় ধরনের নাশকতা করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে এদেশে জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ সৃষ্টি। তারা এখন চুপচাপ থাকলেও তলে তলে সক্রিয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি।
এসময় ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কি কোনো প্রকার সংঘর্ষ বা সংঘাত সৃষ্টি করছে? আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়িয়েছে এমন কোনো চিত্র দেখাতে পারবে তারা।
‘বিএনপির কর্মসূচি হলো গাড়ি ভাঙচুর আগুন সন্ত্রাস করা। তাই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষায় কর্মসূচি দিয়ে মাঠে আছি যাতে তারা (বিএনপি) কোনো নাশকতা করতে না পারে। এজন্য আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে থাকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাত করার ইচ্ছে নেই।’
তিনি বলেন, বিএনপি যে তাদের কার্যালয়ের সামনে পল্টনে সভাসমাবেশ করে সেখানে কতগুলো রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২৩ বঙ্গবন্ধুর এভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সভাসমাবেশ করলে কোনো রাস্তা বন্ধ হয় না।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দেশের জনগণ মাঠে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র অনেক আগেই উদ্ধার হয়েছে। নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার কিছু নেই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলা অনুযায়ী গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিএনপি কবে কতটা গণতন্ত্র উদ্ধার করেছে, তারা তো গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বিএনপি গণতন্ত্র মানে না বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিএনপির দলেও গণতন্ত্র নেই। যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র কিভাবে রাখবে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে এবং থাকবে।
রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করার জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় তিনি বিবিএ বোর্ড সভার কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেতুতে শুধু রাষ্ট্রপতির টোল লাগবে না। এছাড়া সবাইকে টোল দিতে হবে। তবে জরুরি সার্ভিস, ফায়ার সার্ভিস এদেরকে টোল দিতে হবে না।
You must log in to post a comment.