
পশ্চিম উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার শঙ্কা : জানেনা আবহাওয়া দফতর
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আরো কিছুটা সামনে এলে তখন সুস্পষ্টভাবে এর গতিপথ বলা সম্ভব হবে। প্রক্রিয়াটি ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে সিত্রাং। এই শব্দটি থাইল্যান্ডের আবহাওয়া দফতরের দেয়া। থাইভাষায় সিত্রাং শব্দটি মানুষের পদবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আবহাওয়াবিদরা মডেল পূর্বাভাস থেকে বলছেন, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। স্থলভাগে ওঠার সময় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। নিম্নচাপটি যে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এ সম্বন্ধে গতকাল পর্যন্ত কিছু বলেনি বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। তারা শুধু বলেছে, নিম্নচাপটি ঘনীভূত হতে পারে।
মোস্তফা কামাল আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান স্যাটেলাইটের মডেল পূর্বাভাস থেকে বলেন, এই মডেল পূর্বাভাসগুলো সোমবারই বাংলাদেশের খুলনা থেকে চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাসে শুরু থেকেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি সুপার সাইক্লোন বলে অভিহিত করে এলেও এখন এটিকে তারা ‘ভেরি সিভিয়র সাইক্লোনিক স্টর্ম’ (খুবই প্রবল গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়) বলে অভিহিত করেছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন হবে। তবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এর গতিবেগ উঠতে পারে।
মোস্তফা কামাল জানান, সিত্রাং আগামী সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া খুবই আনপ্রেডিক্টেবল (পূর্বাভাস করা খুবই কঠিন) বলে এই সময়ের সাথে তিন ঘণ্টা যোগ করে অথবা তিন ঘণ্টা বিয়োগ করে হিসাব করতে হবে। ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে এবং কানাডিয়ান মডেল পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা থেকে বরিশাল উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।
You must log in to post a comment.