বাংলাদেশকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে নেপাল : রাষ্ট্রদূতশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেছেন, তার দেশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে।

নেপালের বিদ্যুৎ খাতে একটি মেগা প্রকল্প শেষ হলে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নেপালের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে ইসানুল করিম বলেন, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে নেপাল বাংলাদেশে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।

ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দরকে বৈদেশিক রপ্তানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে আগ্রহী। নেপাল ভারতের নিকটতম বন্দরের চেয়ে বুড়িমারী বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত, তাই এটি একটি নতুন বন্দরের জন্য সাইট হিসাবে বেছে নেওয়া হবে বলে বোঝা যায়।

ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে বিশেষভাবে দেখে। তিনি বলেন, তার দেশ অন্যদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উন্নতি করতে চায়। নেপালের রাষ্ট্রদূত শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।

অনেক নেপালি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নেপালের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তার নতুন পদে অভিনন্দন জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সম্পূর্ণ অংশীদার হবেন।

১৯৭১ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ‘মুজিব বর্ষ’ কর্মসূচিতে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছিল।

তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডির জন্য শোক প্রকাশ করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতবৃন্দ এবং মুখ্য সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।