
সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে “চিনি”
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার থেকে বাজারে চিনির সঙ্কট কেটে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেসরকারি চিনি সরবরাহকারী মিল মালিক ও চিনি ব্যবসায়ীরা। সরকার নির্ধারিত দাম, অর্থাৎ বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি মুখের কথায়ই সীমাবদ্ধ থাকলো। বাজারে তাদের প্রতিশ্রুতির কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাজার ঘুরে মিলেছে বিপরীত চিত্র।
তবে বাজারে চিনির সঙ্কট ও ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যেই সরকার নির্ধারিত দামে আজ বুধবার থেকে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম চিনি সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান সিটি ও দেশবন্ধু গ্রুপ। কোম্পানি দুটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মিরপুর এলাকার খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেশিতে। তালতলার কয়েকটি দোকানে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তালতলা এলাকার অনেক দোকানে খোঁজ নিয়ে খোলা চিনি পাওয়া যায়নি। ক্রেতারা বেশি দামে খোলা চিনি কিনতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলার পয়েন্টস থেকে ডিস্ট্রিবিউশন হলে নতুন দামের চিনি পাওয়া যাবে। তখন দামও কমবে। কোম্পানি এখনো নতুন দামে চিনি ছাড় করছে না। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে হয়তো নতুন দামের চিনি মিলতে পারে বলে জানান তারা। দোকানে খোলা চিনি না রাখা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, খোলা চিনির দাম বেশি, ক্রেতারা বকাবকি করেন। প্যাকেট চিনিতে দাম লেখা থাকে, তাই ক্রেতাদের কিছু বলার থাকে না।
You must log in to post a comment.