
মিরসরাই ড্রেজার ডুবে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাবে সাগরে ডুবে থাকা একটি ড্রেজার থেকে আরও তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
আজ সকালে উদ্ধার হওয়া তিন শ্রমিক হলেন ইমাম মোল্লা, মাহমুদ মোল্লা ও জাহিদুল ইসলাম। ড্রেজার ডুবির ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ড্রেজার ড্রেজিং সাইটে আল আমিন নামে এক শ্রমিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল সাতটায় পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও তা অব্যাহত রয়েছে। কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং মিরসরাই থানা পুলিশ একটি পরিস্থিতিতে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারে সহায়তা করছে। প্রবল জোয়ারের কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আজ সকালে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো তিন পুলিশ কর্মকর্তার হাতে রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিতরাং এর প্রভাবে জেটি নং পশ্চিমে এই ড্রেজারটি ডুবে গেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের একদল নেতাকর্মী ওই এলাকায় নতুন মহাসড়ক নির্মাণ শুরুর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। উপজেলা প্রশাসন আট শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তদন্ত চলছে। সকাল থেকে চার শ্রমিকের লাশ পাওয়া গেছে। তবে, ড্রেজার থেকে একজন শ্রমিক তীরে আসতে সক্ষম হলেও দুর্ভাগ্যবশত তিনি আহত হন। পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী এলাকার সব শ্রমিকরা বাড়িতে থাকেন।
সাগর থেকে ড্রেজিং করে বেঁচে যান ওই শ্রমিক। সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিতরাংয়ের প্রভাবে প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ের কারণে মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে তাদের ড্রেজার সৈকত-২ ডুবে যায়। ড্রেজারটির মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মিরসরাইয়ে এই ঠিকাদার নিয়োগ করেন। নয়জন শ্রমিক ড্রেজারে কাজ করছিলেন যখন তাদের মধ্যে একজন প্রান্তে পৌঁছালে বাকিরা আটকে যায়।
You must log in to post a comment.