
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের গাফিলতিতে দুর্ভোগ চরমে
বিআরটি প্রকল্পের গাফিলতির কারণে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে টঙ্গীর মিলগেট এবং ঢাকামুখী সড়কে গাজীপুরের কুনিয়া তারগাছ থেকে টঙ্গীর মিলগেট পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে।
সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, টঙ্গীর মিলগেট এলাকার ভাঙা-গর্তের কারণে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকেই যানবাহন চলাচলে ধীরগতি ছিল। এর মাঝে সকাল ছয়টা থেকেই থেমে থেমে চলতে থাকে যানবাহন। তাঁদের ভাষ্য, বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এমনিতেই ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সড়কের পাশের নালাও নোংরা-আবর্জনায় ভরা। এতে নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজটের। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গত সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত সড়কে দেখা যায় যানজট। তিন দিন ধরেই ভোগান্তি পোহায় মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেও সড়কটি মেরামত বা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সকাল থেকেই থেমে থেমে চলছে যানবাহন।
গত ১৫ আগস্ট উত্তরায় গাড়ির ওপর গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। তবে আজ সকাল নয়টায় সরেজমিনে সড়কটির গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে ইট, বালু, সিমেন্টসহ অন্য নির্মাণসামগ্রী অগোছালোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে কোথাও কোথাও সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কোথাও তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এসব খানাখন্দে জমে আছে পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টঙ্গীর মিলগেট এলাকায়। সেখানে গাড়ি চলছে এক লেনে। এর ওপর ওই লেনেও প্রচুর গর্ত, খানাখন্দ। এর ফলে কোনো গাড়িই স্বাভাবিক গতিতে জায়গাটুকু পার হতে পারে না। এ কারণে উভয়মুখী সড়কেই থেমে থেমে চলছে যানবাহন। কখনো কখনো বেঁধে যাচ্ছে জট।
You must log in to post a comment.