
স্ত্রীর উপর যাকাত কখন ফরজ হবে
শরীয়তের বিধান হলো স্ত্রী যখন নেসাব পরিমান মোহরের মালিক হবে,সেটা তার হস্তগত হওয়ার সময় থেকে নিয়ে এক বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর স্ত্রীর উপর যাকাত ফরজ হবে।
আর যদি ইহা ছাড়াও স্ত্রীর মালিকানায় যাকাত এর নেসাব জাতীয় কোনো সম্পদ থাকে,তাহলে মোহরের টাকার উপর এক বছর অতিবাহিত হতে হবেনা,বরং তখন সেই সম্পদের সাথে মোহর যোগ করে যাকাত দিতে হবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/৩২)
★স্ত্রীর কাছে যতক্ষন পর্যন্ত মোহর হস্তগত (কবজা)
না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত স্ত্রীকে সেটার যাকাত দিতে হবেনা।
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/৩৩)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
لمافی الھندیۃ(۱۷۵/۱): واما سائر الدیون المقر بھا فھی علی ثلاث مراتب عند ابی حنیفۃ رحمہ اﷲ ضعیف وھو کل دین ملکہ بغیر فعلہ لا بدلاً عن شیٔ نحو المیراث او بفعلہ لا بدلاً عن شیٔ کالوصیۃ أو بفعلہ بدلاً عما لیس بمال کالمھر وبدل الخلع والصلح عن دم العمد والدیۃ وبدل الکتابۃ لازکوۃ فیہ عندہ حتی یقبض نصاباً ویحول علیہ الحول۔
যার সারমর্ম হলো মোহর যতক্ষন পর্যন্ত হস্তগত (কবজাহ) না হবে,এবং তার উপর এক বছর অতিবাহিত না হবে,ততক্ষন পর্যন্ত তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবেনা।
,
(০১) আপনার স্ত্রী যেহেতু নেসাব পরিমান স্বর্ণের মালিক হয়েছে,তার উপর যদি এক বছর অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে আপনার স্ত্রীর উপর যাকাত ফরজ হবে।
(০২) এটা স্ত্রীর দায়ীত্বেই আদায় করা ফরজ।
তার কাছে যদি অতিরিক্ত কোনো টাকা না থাকে,তাহলে কাহারো কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সে যাকাত আদায় করবে।
বা অন্য যেকোনো ভাবে টাকা জোগাড় করে যাকাত আদায় করবে।
(০৩) যেহেতু আপনার স্ত্রী আপনার কাছ থেকে আরও ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাবে। সুুুতরাং আপনি যদি তার যাকাতের টাকা দিয়ে দেন, তার সাথে এই শর্ত করে যে, ঐ টাকা আপনার দেনা থেকে কাটা যাবে, তাহলে এই শর্তে টাকা দেওয়া যাবে।
আপনার দেনা থেকে টাকা কেটে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সেই টাকা আপনি আগে স্ত্রীর হাতে দিবেন,তারপর স্ত্রী সেটা যাকাতের টাকা হিসেবে আপনাকে দিতে বললে আপনি সেই টাকা যাকাত হিসেবে গরীব মিসকীন দের মাঝে দিতে পারবেন।
You must log in to post a comment.