
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে ভয়ানক সহিংসতার আশঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামী পল পেলোসি নিজেদের বাড়িতে এক হামলাকারীর ‘সহিংস আক্রমণের শিকার’ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই হামলার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার পর নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ভয়ানক রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই আশঙ্কাকে আরও জোরালো করেছে সরকারের একটি সতর্কবার্তা। শুক্রবার পল পেলোসির উপর হামলার খবরের মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই মার্কিন সরকার সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে একটি বুলেটিন বিতরণ করেছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রার্থী এবং নির্বাচনী কর্মীদের ওপর সহিংসতা ও হামলার ঘটনা বেড়ে যেতে পারে। আদর্শগতভাবে ক্ষুব্ধ চরমপন্থীরা এস হামলা চালাবে।
এছাড়া শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, পেনসিলভানিয়ার এক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করনা হয়েছে। ওই কংগ্রেসম্যান ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট এরিক সোয়ালওয়েল বলে ধারণা করা হচ্ছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসম্যানের ওয়াশিংটন অফিসের একজন স্টাফ সদস্যকে বলা যে, তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে আসতে চলেছেন।
৯১১ অপারেটর তার অভিজ্ঞতা ও স্বজ্ঞা ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন, তাকে যা বলা হয়েছে ঘটনা তার চেয়ে জটিল কিছু; তিনি কলটিকে স্বাভাবিকভাবে না নিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাঠান বলে স্কট জানিয়েছেন। ওই অপারেটরের সিদ্ধান্তকে ‘জীবন রক্ষাকারী’ আখ্যা দিয়ে তার প্রশংসা করেছেন সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ প্রধান। আর নয়তো ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারত।
ঘটনার বিষয়ে অবহিত এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, অনুপ্রবেশকারী পেলোসির তিন তলা লাল ইটের বাড়িটির পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে, প্রবেশ করেই সে ‘ন্যান্সি কোথায়?’ বলে চেঁচাতে থাকে, তারপর ন্যান্সির স্বামী পলের ওপর হামলা চালায়।
পুলিশ এসে ডেপাপেকে পলের ওপর আঘাত করতে দেখে ও তাকে বাধা দিয়ে গ্রেপ্তার করে।
সন্দেহভাজন হামলাকারীর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক হতে পারে বলে কিছু ওয়েবসাইট ইঙ্গিত দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র ১২ দিন আগে এ হামলার ঘটনাটি ঘটল। এ নির্বাচনে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেটের নিয়ন্ত্রণ কোন দলের হাতে যাবে তা নির্ধারিত হবে। রাজনৈতিকভাবে গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে পড়া একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
You must log in to post a comment.