
তেলের দাম কমাতে পারে সউদী
এশিয়ার বাজারে সরবরাহের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পারে সউদী আরব। আগামী ডিসেম্বরে এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে চীনে চলছে কঠোর লকডাউন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক চাহিদা প্রত্যাশার তুলনায় কমার আশঙ্কা থেকেই দাম কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য প্রতি ব্যারেল আরব হালকা অপরিশোধিত তেলের অফিসিয়াল সেলিং প্রাইস (ওএসপি) ৩০ থেকে ৪০ সেন্ট কমাতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ত অয়েল জায়ান্ট সউদী আরামকো।
জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, চীনে চাহিদা প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল। দেশটির শোধনাগারগুলো তাদের তেলজাতপণ্য রপ্তানির কোটা পুরোপুরি ব্যবহার করবে- এ প্রত্যাশায় বাজার এরই মধ্যে পণ্যটির মূল্য নির্ধারণ করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে গত সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানিতে নতুন কোটা জারি করেছে চীন।
এদিকে তেলের বাজার স্থিতিশীল করতে চলতি মাস থেকে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও এর সহযোগীরা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাবিষয়ক ভীতি, যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার কর্তন ও শক্তিশালী ডলারের কারণে মাস তিনেক আগে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১২০ ডলার থেকে ৯০ ডলারে নেমে যায়।
প্রতি মাসের ৫ তারিখে নানা গ্রেডের সউদী অপরিশোধিত তেলের ওএসপি প্রকাশ করা হয়। এর ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হয় ইরান, কুয়েত ও ইরাক থেকে সরবরাহ করা তেলের দাম। মধ্যপ্রাচ্য থেকেই জ্বালানি তেল আমদানি করে এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ।
এদিকে গত রোববার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারের বেশি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রোববার ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ ডলার ১০ সেন্ট কমে হয়েছে ৯৩ ডলার ৫৭ সেন্ট।
You must log in to post a comment.