
২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা
দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার লক্ষ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবে সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত কোনোভাবেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটা যাবে না। তবে সামাজিক বনের গাছ কাটা যাবে।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব দেয়।
২০১৬ সালের আগস্টে মন্ত্রিপরিষদের গৃহীত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা মোকাবেলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার (২০২৩-২০৩০) খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়াও, সভা অপরিহার্য পরিষেবা (রক্ষণাবেক্ষণ) আইন, 1952 এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা (দ্বিতীয়) অধ্যাদেশ, ১৯৫৮ – দুটি পুরানো আইনকে একীভূত করে অপরিহার্য পরিষেবা আইন, 2022-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
“যেহেতু বিদ্যমান আইনগুলো পুরনো। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি (শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় দ্বারা) এই বিষয়ে একটি আধুনিক এবং সময়োপযোগী আইন করার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছিল।
নির্বিচারে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বালুমোহল (বালি উত্তোলন) এবং মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, 2022-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “খসড়া অনুযায়ী বালুমহল এক বছরের বেশি ইজারা দেওয়া যাবে না,” এর সাথে তিনি আরো বলেন, গুরুতর অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা আইনের অধীনে উভয় দণ্ড।
তিনি বলেন, এখন জেলা প্রশাসক এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি বালুমহলের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডব্লিউডিবি) বা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে রিকুইজিশন নিতে হবে।
এরপর কোথায় এবং কী পরিমাণ বালু উত্তোলন করা যাবে তা ঠিক করতে ডব্লিউডিবি বা বিআইডব্লিউটিএ ডিজিটাল জরিপ করবে।
You must log in to post a comment.