
নিয়োগ কার্যক্রমেপ্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মোটা অংকের ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে অফিস সহকারী ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকারের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকারকে অফিস সহকারী পদে আবেদনকারী ভুক্তভোগী মৌসুমী আক্তার (৩২) ১ লাখ ৫০ হাজার ও তার স্বামী মো. কামরুজ্জামান (৪৪) নৈশপ্রহরী পদে ১ লাখ ৫০ হাজার মোট ৩ লাখ টাকা দেন।
ভুক্তভোগী মৌসুমী আক্তার ও তার স্বামী কামরুজ্জামানকে প্রধান শিককের নিজ হাতে লেখা নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যোগদানপত্রের মাধ্যমে তারা বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকার ভুক্তভোগী মৌসুমী আক্তারকে চাকরি না দিয়ে গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধিক টাকা নিয়ে অন্য লোককে চাকরি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী মৌসুমি আক্তারের স্বামী মো. কামরুজ্জামান গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী পদে চাকরির জন্য মৌসুমী আক্তারের কাছ থেকে গত ২০১৩ সালর ১ সেপ্টেম্বর ১ লাখ ও গত ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার এবং নৈশপ্রহরী পদে চাকরির জন্য কামরুজ্জানের কাছ থেকে গত ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকা নেন প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকার। মৌসুমী আক্তারকে গত ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগপত্র ও ১০ সেপ্টেম্বর যোগদানপত্র এবং মো. কামরুজ্জামানকে গত ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্র ও ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদানপত্র দেন প্রধান শিক্ষক সুধির। দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী মৌসুমী ও কামরুজ্জামান ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছিলেন। কিন্তু গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অফিস সহকারী পদে অধিক টাকা নিয়ে অন্য লোককে চাকরি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সুধির চন্দ্র কর্মকার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুধির চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘চাকরির বিষয়ে মৌসুমী আক্তার ও কামরুজ্জামানের সাথে কোন টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন’।
You must log in to post a comment.