
জেরুজালেমে ব্রিটিশ দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই : ঋষি সুনাক
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ব্রিটিশ দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সুনাকের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাজ্যের দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি সামনে এসেছিল। লিজ ট্রাস দ্রুত দূতাবাস স্থানান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্রের কাছে দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।’
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।
এদিকে ২০১৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক আপত্তি সত্ত্বেও জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস স্থানান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর কসোভো, হন্ডুরাস এবং গুয়েতেমালা জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তর করেছে।
তবে দূতাবাস স্থানান্তরের এক বছর আগে ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ২০১৮ সালে সেখানে দূতাবাস সরিয়ে নেয় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও একই কাজ করেছিলেন। তবে চলতি বছরের অক্টোবরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্য যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সেসব দেশের দূতাবাস তেল আবিবেই অবস্থিত। ইসরায়েল জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী দাবি করলেও যুক্তরাজ্যসহ প্রায় সব দেশ তেল আবিবে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম চালায়।
এ দেশগুলোর কথা হলো- যেহেতু ফিলিস্তিনিরা দাবি করে জেরুজালেম তাদের রাজধানী, অন্যদিকে ইসরাইল দাবি করে জেরুজালেম তাদের, তাই যতক্ষণ বিষয়টির সুরাহা না হচ্ছে এবং দ্বন্দ্ব সুরাহা না হচ্ছে ততক্ষণ তারা জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
সূত্র: আল জাজিরা
You must log in to post a comment.