
দাম বাড়ছে সয়াবিনের
বাজার থেকে স্বস্তি যেন উধাও হয়ে গেছে। চিনি নিয়ে সংকটের মধ্যেই নতুন করে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামও চড়া। সব মিলিয়ে ভালো নেই স্বল্প আয়ের মানুষ। অনেক কাটছাঁট করেও তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজার ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে চাল, আটা, তেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া অনেক দোকানেই চিনির সরবরাহ নেই। কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিল থেকে এখনো চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
তেলের দাম বেড়েছে, আরও বাড়ানোর প্রস্তাব
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দামও বেড়েছে। টিসিবি জানিয়েছে, প্রতি লিটার পাম অয়েলে তিন টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে ১০ টাকা বেড়ে ৮৬০ থেকে ৮৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত বৃহস্পতিবার তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক দরপতনের কারণ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯৫৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
You must log in to post a comment.