
দীর্ঘ ২৬ বছর পর রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন আজকে
দীর্ঘ ২৬ বছর পর আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নগরীজুড়ে এখন সাজ সাজ রব।
এদিকে সম্মেলনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কমিটিতে স্থান পেতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ৪০ নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।
সম্মেলনের প্রস্ততি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, আমরা সব আয়োজন শেষ করেছি। আশা করছি, একটি সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পারব। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন নেতৃত্ব আসবে।
যুবলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে যারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সংগঠনের হাল ধরে রেখেছেন, নানা ত্যাগের ভেতর জেল-জুলুম সহ্য করে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। যাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে এবং পরীক্ষিত তাদেরই সংগঠনের মূল নেতৃত্বে আসা উচিত।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সম্মানিত অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি-সম্পাদক পদে বর্তমান জেলা যুবলীগের নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে। এবারের কমিটিতে চমক আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিতর্কিত কাউকেই পদ দেওয়া হবে না বলে কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
যুবলীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত দিনে যারা ত্যাগ রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন থেকে ত্যাগ স্বীকার করে মুজিব আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে এসেছেন তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সম্পাদক পদে ৪০ জনের বেশি নেতা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদের মধ্যে রংপুর কলেজের সাবেক জিএস ওয়াসিমুল বারী শিমু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষিণ চন্দ্র রায়, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মায়া, জেলা যুবলীগের সদস্য মাসুদ রানা বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান লিউ, যুবলীগ নেতা সজিব মমতাজ, রাহেল চৌধুরী পিন্টু, যুবলীগ জেলা কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক হাসানুল কবীর তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহিন, মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন, যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. লুৎফে আরা রনি, যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, শহর ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মাহফুজার রহমান বুলেট আলোচনায় রয়েছেন।
You must log in to post a comment.