
কাপ্তাই লেক থেকে নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাঙ্গামাটির লংগদুতে বালুভর্তি বোট ও স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে কাপ্তাই লেকে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ৪০ ঘণ্টা পর নিখোঁজ ২ কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কাপ্তাই লেকে জেলেদের জালে আটকে উঠে আসে তাদের নিথর দেহ। উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলো- রিটন ও এলিনা চাকমা। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও লংগদু থানা পুলিশ উপস্থিত থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
গত ৪ঠা নভেম্বর দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার অভিযানে নামে।
শনিবার দিবাগত রাতে জালের সঙ্গে আটকে উঠে আসে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে রিটন চাকমার (২০) লাশ। তার পিতার নাম মুক্ত লাল চাকমা, গ্রাম ক্যাংড়াছড়ি, বাঘাইছড়ি। পরে মরদেহটি লংগদু থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে আজ ভোর ৬টার সময় এলিনা চাকমাকে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। নিহতরা উভয়েই শিজক কলেজের উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি’র শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর লংগদু থানার এসআই মশিউর রহমান ও এসআই শাহাবুর আলম শিহাবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মরদেহগুলো উদ্ধার করে লংগদু থানায় নিয়ে যায়।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানান, আমাদের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে প্রথম দিন থেকে ঘটনাস্থলে ছিলো। নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ঠা নভেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বাঘাইছড়ি থেকে ছেড়ে আসা স্পিডবোট ও রাঙামাটি থেকে ছেড়ে আসা বালুভর্তি বোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় স্পিডবোটটিতে থাকা ৯ জন যাত্রীর সকলেই কাপ্তাই লেকের পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও রিটন ও এলিনা নামের দুই শিক্ষার্থী লেকের পানিতে তলিয়ে যায়। স্পিডবোট চালকের খামখেয়ালিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং স্পিডবোটে থাকা যাত্রীদের কারো গায়েই জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট ছিলো না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
You must log in to post a comment.