
গোপনে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে ইউক্রেনকে উৎসাহ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রঃ ওয়াশিংটন পোস্ট
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে শনিবার (৫ নভেম্বার) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার জন্য ইউক্রেনের নেতাদের খোলা মন নিয়ে থাকার জন্য গোপনে উৎসাহিত করছে। পুতিন ক্ষমতা থেকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো শান্তি আলোচনায় বসা হবে না—বারবার প্রকাশ্যে এমন অবস্থান ব্যক্ত করা থেকে সরে এসে আলোচনার জন্য একটি উদার অবস্থান নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় নেতাদের সঙ্গে এ সম্পর্কিত আলাপ এবং শান্তি আলোচনায় উৎসাহিত করার বিষয়ে ওয়াকিবহাল কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, শান্তি আলোচনায় উৎসাহ দেওয়া মানে কিন্তু ইউক্রেনকে ‘সমঝোতার টেবিলে’ ঠেলে দেওয়াই মার্কিন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে কিয়েভের প্রতি অন্যান্য দেশের সমর্থন নিশ্চিত করার একটি কৌশল হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। যেখানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থেকে অনেক দেশের সরকারই রাজনৈতিক ময়দানে বেশ চাপের মুখে পড়ছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। আর ২০২৪ সালেই আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার বিরোধীদের আক্রমণের অন্যতম ইস্যু হিসেবে থাকছে চীন ও ইউক্রেন যুদ্ধ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রাথমিকভাবে যুদ্ধের প্রথম দিকে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দখল করার পরে জেলেনস্কি পুতিনের সাথে শান্তি আলোচনা করা অসম্ভব বলে একটি ঘোষণা জারি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে একের পর এক শহর দখল করতে থাকে রাশিয়া। তবে একটা পর্যায়ে দৃশ্যপট বদলে যায়। ব্যাপক পশ্চিমা সহযোগিতা নিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং রুশ সেনাদের হটিয়ে একের পর এক শহর পুনরুদ্ধার করে। এরপরই অবশ্য ভিন্ন কৌশলে আগান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে ইউক্রেনের অনেক শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রধান প্রধান শহরে নির্বিচারে ড্রোন হামলাও চলছে। রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো ইউক্রেনের নাগরিক জীবন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয়ের মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য কংগ্রেসের সমর্থনও হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট
You must log in to post a comment.