
আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা
শস্য ভাণ্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জে আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ধানের ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি জেলার কৃষকরা। তবে এবার খড়ের দাম চড়া হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৭৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যেই জেলার বিভিন্ন হাটে নতুন ধান কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন কাঁচা ধান ব্রি-৯০, প্রতি মণ এক হাজার ৯০০ টাকা, কাটারিভোগ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৪৮০ টাকা, ব্রি-৪৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা, ব্রি-৫১ জাতের ধান এক হাজার ৪০০ টাকা ও ব্রি- ২৯ সাড়ে এক হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
তাড়াশের বারুহাস, নঁওগা, রানীরর হাট, রায়গঞ্জের নিমগাছী, উল্লাপাড়ার কয়ড়া, মোহনপুর সলংগাসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে একই দামে ধান বিক্রি হয়েছে।
তবে নতুন আমন ধান কাটা শুরু হলেও জেলায় চালের বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
কামারখন্দ উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের কৃষক তজিমুদ্দিন ও কর্নসূতি গ্রামের রাজ্জাক বলেন, এবছর আমাদের এখানে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই আগাম জাতে ধান কাটা শুরু করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ধানের ফলন বেশি হয়েছে। দামও ভালো এবার ধান বিক্রি করে শুধু খরচই না বেশ লাভও হচ্ছে। এছাড়া খড়ের দামও অনেক বেশি। খড় বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি।
ধানের ব্যপারী চান্দু শেখ জানান, এবছর ভরা মৌসুমেও ধানের দাম বেশি। বিভিন্ন হাটে বা কৃষকের বাড়ি থেকে ১২শ টাকা থেকে ১৯শ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করছি।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না উয়াসমিন সুমী জানান, তার উপজেলারয় ধানের বাম্পর ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা সন্তষ্ট। এছাড়া এ বছর তাদের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর আর আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ০৪০ হেক্টর জমিতে।
তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, তাড়াশে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ০৯৭ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে।
এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, সিরাজগঞ্জে এবার ব্রি- ৯০, ৫১, ৮৭, ৭৮ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে।
You must log in to post a comment.