
এনডিসি ও ডিএসসিএসির পরিচালনা পর্ষদের যৌথ সভা
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের ১৯তম যৌথ সভা সোমবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসস্থ শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে ওই যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন করেন।
পরিচালনা পর্ষদের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, কমান্ড্যান্ট এনডিসি এবং ডিএসসিএসসি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় (অর্থ বিভাগ), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভগ) সিনিয়র সচিব/ সচিববৃন্দসহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর উপাচার্যগণ।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার উদ্ধোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে তার সরকারের অব্যাহত সহযোহিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যুগোপযোগী ও উ”চমানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় এনডিসি এবং ডিএসসিএসসির কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। করোনাকালীনসশরীরে সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি ওই প্রতিষ্ঠানদ্বয়কে সাধুবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠান দুটির উন্নতি ও অগ্রগতিতে তার সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণকে কলেজদ্বয়ের উন্নতি ও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষকে দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সাথে সংগতি রেখে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন এবং এই ধারাকে অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল রেখে সময়োপযোগী নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সেই সাথে তিনি জ্ঞানভিত্তিক সামরিক-অসামরিক নেতৃত্ব তৈরী এবং জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে একটি সুন্দর ও কার্যকরী সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮-এর আলোকে সামরিক সংস্কার, সামরিক আধুনিকায়ন এবং সামরিক প্রযুক্তির Future Trends মূল্যায়ন-পূর্বক ভবিষ্যত যুদ্ধের উপযোগী করে সকল প্রশিক্ষণার্থীকে প্রস্তুতের উপর তিনি সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ তৈরীর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় এনডিসি এবং ডিএসসিএসসির কমান্ড্যান্টদ্বয় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের উপর পর্যায়ক্রমে সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রদান করেন। পরিচালনা পর্ষদের বিগত সভাসমূহে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতঃ ১৯তম সভার এজেন্ডা অনুযায়ী উপস্থাপিত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আলোকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে প্রতিষ্ঠান দুটির কমান্ড্যান্টগণ প্রধানমন্ত্রীকে এনডিসি ও ডিএসসিএসসি’র শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের উন্নয়নের জন্য যথাযথ সহায়তা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
You must log in to post a comment.