
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ইরানের নিষেধাজ্ঞা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেনের বেশ কিছু কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। দেশটিতে সাম্প্রতিক দাঙ্গা ও সহিংসতায় সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল তেহরান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় ইরানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপমূলক বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তেহরান।
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন আসার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের এসব কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে তা ঘোষণা করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইরান এখন যে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর এসব সমর্থন ও বিবৃতির কারণে ইরানে সন্ত্রাসবাদ, দাঙ্গা, সহিংসতা, ঘৃণা, অস্থিরতা এবং দফায় দফায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনী, বাহরাইনে অবস্থিত ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি, ব্রিটিশ কমিটি ফর ইরান ফ্রিডম, টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেইঞ্জ, ব্রিটিশ অভিবাসন বিষয়ক উপমন্ত্রী রবাট জেনেরিক, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল স্যার অ্যান্টনি ডেভিড রাডাকিন এবং ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা এয়ার মার্শাল মার্টিন ইলিয়ট স্যামসন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে সমস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরান নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মার্কিন অর্থে পরিচালিত রেডিও ফারদা, রেডিও ফ্রি ইউরোপ, রেডিও লিবার্টি, রেডিও জামানে, ফরাসি ম্যাগাজিন শারলি এবদো, জার্মানির সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিশেল ট্রটারম্যান, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মেম্বার হান্না নিউম্যান এবং ফ্রান্সের রাজনীতিবিদ বার্নার্ড কুচনার।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি তরুণী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো।
You must log in to post a comment.